• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

দিনাজপুরে লিচুর রেকর্ড ফলনের আশা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২২  

Find us in facebook

Find us in facebook

দিনাজপুরের লিচুর বাগানগুলোতে মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কোনো কোনো গাছে গুটিও চলে এসেছে। কিন্তু গত বছর সব গাছে মুকুলে ছেয়ে গেলেও এবার কোনো গাছে বেশি, কোনো গাছে কম, কোনো গাছে মাঝারি পরিমাণ দেখা গেছে। আবার কোনো কোনো গাছ একেবারেই ফাঁকা। তবে চাষ বেশি হওয়ায় লিচুর রাজ্যে এবারও রেকর্ড পরিমাণ ফলনের আশা কৃষি সংশ্লিষ্টদের।

এদিকে বিশেষজ্ঞরাও গতবারের মতো ফলন আশা না করলেও হতাশ নন। তারা বলেছেন, এ বছর খানিকটা দেরিতে লিচুর মুকুল এসেছে। অন্যবারের চেয়ে দিনাজপুরে বেশি জমিতে লিচুর চাষ হওয়ায় মোটের ওপর উৎপাদনও বেশি হবে। এছাড়া যেসব গাছে মুকুল এসেছে আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হবে।

দিনাজপুরের মাসিমপুর গ্রামের লিচু চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, এবার লিচুর মুকুল কোনো গাছে প্রচুর, আবার কোনো গাছে তেমন নেই। সেই হিসাবে এ বছর উৎপাদন কম হতে পারে।

বিরল উপজেলার চাষি মতিউর রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে। কোনো কোনো গাছে প্রচুর মুকুল আছে, গুটিও ভালো আসছে। এখন বাকি সময়ের মধ্যে কয়েকবার বৃষ্টির প্রয়োজন হবে লিচুগাছের জন্য। বৃষ্টি না হলে খরায় গুটি ঝরে পড়বে। তখন ফলন নিয়ে শঙ্কা দেখা দেবে।

চিরিরবন্দরের কুতুবডাঙ্গা গ্রামের লিছু চাষি খলিলুর রহমান বলেন, লিচুর উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলেই হলো। অনেক সময় ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে প্রচুর ক্ষতি হয়। এবার এখন পর্যন্ত দুর্যোগ দেখা যায়নি। তবে সামনের দিনগুলোই লিচুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সময়। এ সময়টা ভালোভাবে কেটে গেলেই ফলন ভালো হবে।

দিনাজপুরের ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল আলীম বলেন, এবার দিনাজপুর জেলায় ৫ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। গতবার হয়েছিল ৫ হাজার ১৮৪ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৪ হাজার টন। গতবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এবার ৪৯৬ হেক্টর বেশি জমিতে লিচুর চাষ বেশি হওয়ায় গতবারের চেয়ে উৎপাদন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ খালেদুর রহমান বলেন, যদিও লিচুর মুকুল কিছু কিছু গাছে কম আছে। তবে লিচুর চাষাবাদ বেশি হওয়ায় সেটি পুষিয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনও বেশি হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here