নতুন করে সাজানো হচ্ছে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Find us in facebook
প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পরে অত্যাধুনিক করে গড়ে তোলা হচ্ছে কক্সবাজারে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটিকে। মহাসড়ক থেকে পার্কে প্রবেশের মূল গেট পর্যন্ত এলাকার আশপাশে বেদখল বনভূমি উদ্ধার করে তৈরি হচ্ছে বাস-মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেলের আলাদা পার্কিং। পার্কিংয়ের লাগোয়া পূর্বপাশেই গড়া সাদা উড়ন্ত পায়রা হাতে বঙ্গবন্ধুর মুরাল এলাকাটি সম্প্রসারণ করে গড়া হচ্ছে সবুজের আবরণ, ফুল বাগান। পার্কের দক্ষিণে পিকনিক স্পটের লাগোয়া পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম লেক।
মহাসড়কের পাশেই বসছে দৃষ্টিনন্দন প্রবেশ ফটক, চলছে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ। দুই লেনের সড়কে তৈরি হচ্ছে টাইলস সমৃদ্ধ ফুটপাতও। তৈরি হচ্ছে সুপরিসর টিকিট ঘর। পর্যটকদের লাগেজ ও প্রয়োজনীয় মালামাল রাখতে সে ঘরেই যুক্ত হচ্ছে লকার রুম। সাথে থাকছে ব্রেস্টফিডিং ও দর্শনার্থী অপেক্ষা কক্ষও। সংস্কার হচ্ছে ডরমেটরি ও ব্যারাক। করা হচ্ছে আধুনিক মানের ওয়াশরুমও। আলাদা হচ্ছে পার্কে দর্শনার্থী প্রবেশ-বাহির পথ। বাচ্চাদের বিনোদনে হচ্ছে আলাদা এমিউজিং পার্ক। নতুন করে সাজানো হয়েছে পার্কের মাঝখানের শতাধিক ফুট উঁচু ওয়াচ টাওয়ার।
পার্কের বাঘ-সিংহ ও তৃণভোজী প্রাণীদের জন্য তৈরি হচ্ছে সাফারি। বাঘ-সিংহের জন্য শত একর জমির আলাদা সাফারি ও জেব্রা, গয়াল, হরিণসহ অন্যপ্রাণীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে কয়েক শ একর এলাকা। বেষ্টনী অনুসারে সাফারির চারপাশে তৈরি হচ্ছে নিরাপদ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ পথ। গড়া হচ্ছে প্রবেশ-বাহিরের জন্য স্বয়ংক্রিয় ফটক, যান চলাচলে উপযুক্ত পাকা সড়কও। বাঘ-সিংহসহ হিংস্র প্রাণী বনে মুক্ত করে দেওয়া হলে খাঁচাযুক্ত গাড়িতে দর্শনাথীর্রা সংশ্লিষ্ট বেষ্টনীতে ঢুকে বিচরণরত বাঘ-সিংহ অবলোকন করবেন।আবদ্ধ এবং উন্মুক্ত প্রাণিকূলের এক বেষ্টনী হতে অন্য বেষ্টনী পর্যন্ত সহজে যেতে তৈরি হচ্ছে সংযোগ সড়ক। অতিরোদ পড়া বেষ্টনীগুলো ছায়া ঘেরা পরিবেশে স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে। চলছে অবকাঠামো তৈরির কর্মযজ্ঞ।
কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাট এলাকায় ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। ভেতর-বাইরে ৯০০ হেক্টর আয়তন নিয়ে যাত্রা করা পার্কে বিপুল পরিমাণ মাদার ট্রিসহ (গর্জন) রয়েছে নানা প্রজাতির বনজ গাছ। শুরু থেকেই সবুজের আবরণে দৃষ্টিনন্দন পার্কটি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের বিনোদনের অনুষঙ্গ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। শিক্ষার্থীরাও এই পার্ক থেকে প্রকৃতিবিষয়ক জ্ঞান আহরণ করতে পারে। সপ্তাহের মঙ্গলবার ছাড়া বাকি ছয় দিন দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাসে, প্রাণিকূলের কোলাহলে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো পার্ক। প্রাপ্ত বয়স্করা ৫০ টাকা আর ৫ বছরের বড় শিশু-কিশোররা ৩০ টাকায় এবং শিক্ষার্থী ১০০ জনে ৫০০ টাকা এবং ২০০ জন ৮০০ টাকার টিকিটে পার্ক দর্শন করতে পারছেন।
তথ্যমতে, পার্কে ১৯টি বেষ্টনীতে সংরক্ষিত আছে নানারকম প্রাণী। কঠোর নিরাপত্তায় পালিত হচ্ছে হাতি, বাঘ, সিংহ, জলহস্তি, গয়াল, আফ্রিকান জেব্রা, ওয়াইল্ডবিস্ট, ভাল্লুক, বন্য শূকর, হনুমান, ময়ূর, স্বাদু ও নোনা পানির কুমির, সাপ, বনগরুসহ দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির প্রাণী। পার্ক জুড়ে রয়েছে চিত্রা, মায়া, সম্বর ও প্যারা হরিণ। রয়েছে জানা-অজানা বিচিত্র ধরনের কয়েক শ ধরনের পাখি। পার্কে দেখা মেলে কালের সাক্ষী বিশালাকার দুর্লভ ও মূল্যবান বৃক্ষরাজির। সে সব গাছে বানরের লাফালাফি নজর কাড়ে দর্শনাথীর্দের। এসব দৃশ্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দর্শনার্থীরা। পার্কের প্রাণিকূলের চিকিত্সার জন্য রয়েছে হাসপাতাল। সেখানে সার্বক্ষণিক থাকছেন প্রাণী চিকিৎসক।
সাফারি পার্কের ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রথম সাফারি পার্ক ডুলাহাজারা। মূলত সাফারি পার্ক শিক্ষাথীর্ ও প্রকৃতি গবেষকদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে সহায়ক। সাফারি বলতে, পার্কে থাকা প্রাণীগুলো উন্মুক্ত থাকবে, আর দর্শনাথীর্রা থাকবে খাঁচায় আবদ্ধ। চলন্ত গাড়িতে ঘুরে তারা বন্যপ্রাণী দেখে নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি পূর্ণ করবেন। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো সেভাবে সাফারি পার্ক গড়ে তোলা যায়নি। তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণ এশীয় পদ্ধতিতে পার্ক চালাচ্ছি। পার্কে থাকা প্রতিটি প্রাণীর জন্য আলাদা বেষ্টনী রয়েছে। রয়েছে আলাদা খাবার সংরক্ষণ ও প্রাণীদের পরিচর্যার ব্যবস্থা। রয়েছে নিরাপত্তাকর্মী। প্রতিষ্ঠার দুই যুগে ডুলাহাজারা সাফারি পার্কটি এ অঞ্চলের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার বেড়ানো এবং বিনোদনের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে বার্ষিক পিকনিক করতে আসছে অনেক শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। তাই পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হচ্ছে নতুন করে।
মাজহার আরো বলেন, অনেক বছর বাঘ-সিংহকে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমরা সত্যিকারের সাফারি পার্ক করার উদ্যোগ নিয়েছি। বাঘ-সিংহ ও অন্য প্রাণীগুলো সম্পূর্ণ মুক্ত করে বিচরণের ব্যবস্হা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সব কাজ দ্রুতগতিতে এগুচ্ছে। আগামী বছরের শেষের দিকে আমরা সে লক্ষ্য ছুঁতে পারব বলে আশা করছি।
- রুয়েট, কুয়েট ও চুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেলেন সেই কলেজের ৩৫ শিক্ষার্থী
- পীরগঞ্জে বালুবাহী ট্রাকচাপায় গৃহবধূ নিহত
- `শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে ভাবছে সরকার`
- ‘পঞ্চগড় থেকে মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের নয়া যাত্রা হবে’
- রংপুরে নিখোঁজের ১২ দিন পর সন্ধান মিলল দুই বন্ধুর
- দেবীগঞ্জে খেলনা লঞ্চ বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নুর নবী
- পার্কের মত স্কুল, আগ্রহ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের
- রাণীশংকৈলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ক সভা
- বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী মার্কিন কোম্পানি: খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থন পাচ্ছে না বিএনপি
- দেশে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৪ কোটির বেশি মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সাকিবের বেটউইনার কাণ্ড, ফেসবুকে যা বললেন শিশির
- বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে শিল্প-কারখানায় এলাকাভেদে সাপ্তাহিক ছুটি
- তারেকের লুটপাট নিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রামাণ্যচিত্র
- বলিউডের আইটেম গার্ল নোরা কেন ঢাকায় আসছেন?
- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে হস্তক্ষেপের আহ্বান
- প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ`
- বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় পরিমাণ গম রফতানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া
- আন্দোলন নিয়ে বিএনপিতে মতভেদ
- চীনের ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল তাইওয়ান
- জাতীয় শোক দিবসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে: আইজিপি
- তেলের দাম বৃদ্ধির ব্যাখ্যা তুলে ধরতে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ
- প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবিক সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান
- জুমার দিন যে তিন ভুল করবেন না
- পালাব না, প্রয়োজনে দেশের মাটিতে জেলে যাব: সেতুমন্ত্রী
- রাশিয়া থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আনছে বাংলাদেশ
- জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যা চাইলো মন্ত্রিসভা
- জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশন শুরু ২৮ আগস্ট
- বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী মার্কিন কোম্পানি: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- দেশে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৪ কোটির বেশি মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- আলো ছড়াচ্ছে বেলালের ‘সেলুন পাঠাগার’
- শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম তৈরির দায়িত্বে অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি
- এক মাসের মধ্যে আগের অবস্থানে ফিরে যাবে দেশ: পরিকল্পনামন্ত্রী
- দুই দশকের বেশি পুরোনো মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ
- আইসিটি বিভাগে ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব: পলক
- ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম সর্বনিম্ন!
- একসময় অন্যের বাড়িতে কাজ করা সাদিনার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প
- পানিসম্পদ ব্যবহার নিয়ে নেপাল-বাংলাদেশ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত
- আজ জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস
- পাওনা পরিশোধের কথা বলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
- শুরু হলো কলেরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ
- খালিদের স্থপতি হওয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও
- বিসিএস সুপারিশপ্রাপ্ত ১৭ জনকে সংবর্ধনা দিল ঠাকুরগাঁও চিরন্তন
- করোনা আপডেট: গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আরো ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৪৯
- `ডেঙ্গু প্রতিরোধে এশিয়ায় সফলতার শীর্ষে বাংলাদেশ`
- সাদুল্লাপুরে আলো ছড়াচ্ছে বেলালের ‘সেলুন পাঠাগার’
- ‘পৃথিবীটা অনেক সুন্দর, শুধু তোমার জন্য চলে গেলাম আল্লাহর কাছে’
- ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ: পলক
- আর্থিক সংস্থাগুলোর অংশীদারিত্ব বাড়ানোর আহ্বান বাংলাদেশের
- তেঁতুলিয়ায় আবারো ধরা পড়লো ৩০ কেজি ওজনের বাঘাইড়