ঢাকার পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ড্যাপে গুরুত্ব পাচ্ছে জনঘনত্ব
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০২২
Find us in facebook
ঢাকার পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রস্তাবিত নতুন ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। এতে গুরুত্ব পাচ্ছে জনঘনত্ব। কোন এলাকার জনঘনত্ব কেমন হবে, তা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধার ওপর।
জানা গেছে, ১৯৫৯ সালে প্রথমে ঢাকার জন্য এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা করা হয়। কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যান স্কিমের সহযোগিতায় ব্রিটিশ কোম্পানি মিনোপ্রিও, স্পেন্সলি ও ম্যাকফারলনের মাধ্যমে এ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়। পরিকল্পনাটি ২০ বছরের জন্য করা হলেও কার্যকর ছিল ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত।
এরপর ঢাকা শহরের উন্নয়নের জন্য ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান (১৯৯৫-২০১৫) নামের ২০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল পরিকল্পনা প্রণয়ন করে রাজউক। এছাড়া নগর অঞ্চল পরিকল্পনাও (১৯৯৫-২০০৫) প্রণয়ন করা হয়। ২০০৪ সালে ড্যাপের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। ২০১০ সালের ২২ জুন এটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ড্যাপে ঢাকার মোট আয়তন ধরা হয় এক হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার বা ৫৯০ বর্গমাইল।
২০১০ সালের ২৭ জুন ড্যাপ রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের মার্চে সংশোধিত ড্যাপ প্রণয়নের কাজ শুরু করে রাজউক। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ড্যাপ চূড়ান্ত করার কথা ছিল। সে সময় কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। পরে দফায় দফায় সময় আরও বাড়ানো হয়।
গত ৩০ ডিসেম্বর সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও ড্যাপ রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম ড্যাপ চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি জানান। ওইদিন তিনি বলেন, ‘ড্যাপ চূড়ান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
জানা গেছে, সংশোধিত ড্যাপের ফাইলটি এখনও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়নি। মন্ত্রিসভা কমিটির কার্যবিবরণী প্রকাশের পর তার কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশ করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি নগরের পরিকল্পনা করতে গেলে অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। কতজন মানুষের বসবাসের সুযোগ-সুবিধা আছে, সে অনুযায়ী জনঘনত্ব নির্ধারণ করা হয়। এবার ড্যাপ চূড়ান্তে বিষয়টির ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সবকিছুর ক্ষমতার (সুযোগ-সুবিধা) ওপর ভিত্তি করে ওই এলাকায় কত জনসংখ্যা বসবাস করবে, সেটিই হলো জনঘনত্ব। ড্যাপে এলাকাভিত্তিক জনঘনত্বের কথা বলা আছে।’
তিনি বলেন, ‘আরবান প্ল্যানিংয়ের (নগর পরিকল্পনা) কনসেপ্টে যখন একটি সিটি ডিজাইন করা হয়, তখন নির্ধারণ করতে হয় যে, ওই সিটিতে কত লোক বসবাস করবে। ওই জনসংখ্যার অনুপাতে ফ্যাসিলিটিজ রাখতে হবে।’ ‘ধরুন, আপনি কোনো একটি ছোট সিটি ডিজাইন করলেন। সেখানে ২০ হাজার মানুষ বসবাস করতে পারবে। ২০ হাজার মানুষের জন্য তো বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। তবে ওই সিটিতে যদি ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করে, সেক্ষেত্রে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তো দিতে হবে। কারণ, ৫০ হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত এক হাজার শিক্ষার্থী থাকতে পারে, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবে।’
আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সব এলাকায় তো একই ঘনত্বে মানুষ বসবাস করবে না। কারণ, সব এলাকার বৈশিষ্ট্য এক নয়। যদি ধানমন্ডি এলাকার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে রায়েরবাজারের বৈশিষ্ট্য মেলান, তাহলে তো হবে না। ধানমন্ডিতে সুপ্রশস্ত রাস্তা আছে, কিছু পাবলিক স্পেসও আছে। যদিও জনসংখ্যার তুলনায় এগুলোও কম। মানে ধানমন্ডিতেই কম, আর রায়েরবাজারের কথা তো চিন্তাই করা যায় না। একটি গাড়ি ঢুকলে আরেকটি বের হতে পারে না। এটি শহরের পরিবেশ হতে পারে না।’
প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ‘যে এলাকার ফ্যাসিলিটিজ (সুযোগ-সুবিধা) বেশি, সেখানকার ডেনসিটি (ঘনত্ব) বেশি হবে। যে এলাকার ফ্যাসিলিটিজ কম, সেখানে ডেনসিটিও কম হবে। যে এলাকার ফ্যাসিলিটিজ কম, সে এলাকায় যদি ফ্যাসিলিটিজ যুক্ত হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে ডেনসিটি বাড়বে। এটা তো ডায়নামিক বিষয়। এটা যে থেমে থাকবে, তা নয়। ধরুন, আপনি ওই এলাকায় নতুন একটি রাস্তা বানালেন তখন সেখানকার ডেনসিটি আবার বেড়ে যাবে।’
রাজউকের প্রধান এই নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, ‘এটা পৃথিবীর সব দেশেই আছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও আছে। এটা এতদিন আমাদের দেশে ছিল না। কিন্তু আমাদের তো একটা জায়গা থেকে শুরু করতেই হবে। নইলে এই যে অনেক নিউজ আসছে, দূষিত শহরের মধ্যে ঢাকা প্রথম; এটা তো নাগরিক হিসেবে আমাদের ভালো লাগার কথা নয়। এই শহরে আপনি-আমি সবাই মিলে বসবাস করি। তাই শহরের প্রতি সবারই তো দায়িত্ব আছে।’
এদিকে, ‘ড্যাপে ছয়তলার বেশি উঁচু ভবন করা যাবে না’ বলে সম্প্রতি যে তথ্যটি ছড়িয়ে পড়েছে, সেটিকে ‘গুজব’ বলে দাবি করেছেন প্রকল্প পরিচালক। তিনি বলেন, ‘ড্যাপের রিপোর্টে ছয়তলার কিছুই উল্লেখ করা নেই। এটি গুজব।’
একই দাবি করেন রাজউকের চেয়ারম্যান (সচিব) এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। তিনি বলেন, ‘ছয়তলার বেশি উঁচু ভবন করতে দেবে না, এটা কোথাও লেখা নেই।’
এদিকে, সংশোধিত ড্যাপে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা বিবেচনায় নেবে ড্যাপ রিভিউ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। কোথাও সংশোধনের প্রয়োজন হলে তাও করা হবে।
এ বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো পক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ড্যাপ বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বা কারও প্রতি যদি অবিচার করা হয়, তাহলে তা অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া হবে। এটি চূড়ান্ত হওয়ার পর প্রতি তিন মাস পরপর রিভিউ কমিটির মিটিং হবে। সেই মিটিংয়ে সব আপত্তি ও মতামত পর্যালোচনা করা হবে। কোথাও যদি সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে, সবার সিদ্ধান্তক্রমে তা করা হবে।’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- বিক্ষোভরত ইসরায়েলি জিম্মিদের স্বজনদের আটক করেছে পুলিশ
- বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া
- জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
- ঈদ: সাড়ে ৮ ঘণ্টায় ট্রেনের ৩৫ হাজার টিকিট বিক্রি
- ‘বিএনপি ইসরায়েলের বিপক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’
- আগের সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে: বিএসএমএমইউর বিদায়ী ভিসি
- সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ কমাতে ছুটি বাড়ানোর দাবি
- স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- কোটি হিটের পরও অবিক্রিত ট্রেনের ছয় হাজার টিকিট
- চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি জাহাজের খাবার, ভিন্ন ব্যবস্থা করছে দস্যুরা
- ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু
- ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয়’
- বেরোবিতে নেত্রকোনা ছাত্র কল্যাণ সমিতির নেতৃত্বে রাকিব -পলাশ
- বিশ্ব নাট্য দিবসে পঞ্চগড়ে সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি
- ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও হুইপ ইকবালুর রহিমের মা মারা গেছেন
- কুড়িগ্রামে দুঃস্থদের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- ফজর সালাতের প্রতি আর গাফেলতি-অলসতা আসবে না, যদি...
- ঢাকায় ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ঠাকুরগাঁওয়ে অ্যাম্বুলেন্স-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ১
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে অব্যাহতি
- গাজায় শিশুহত্যা চলছে, কোথায় বিশ্বমানবতা- প্রধানমন্ত্রী
- ১২ বছরে প্রাথমিকে ২ লাখ ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
- রমজানে মুমিন মুসলমানের প্রতিদিনের আমল
- রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন
- সেবক হয়ে জেলা প্রশাসকদের কাজ করে যেতে হবে : স্পিকার
- জলবিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- চলছে কর্মযজ্ঞ, অক্টোবরে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু
- সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের শপথ আজ
- শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ শুরু হবে যখন
- রোজা রাখার ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
- নীলফামারীতে বিটরুট চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার
- মধ্যপন্থা: মুমিনের বৈশিষ্ট্য
- দেশের ৮ জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস