• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook

ওয়ারীতে কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নের নির্দেশ ডিএসসিসি মেয়রের 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ওয়ারীতে আরও কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 

তিনি এ সময় লকডাউনকৃত এলাকার বাসিন্দাদেরকে আরও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ এই লকডাউন কার্যকরে সর্বাত্মক সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে নগর ভবনে ওয়ারী লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রীয় বাস্তবায়ন কমিটির ২য় পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।

করোনা মহামারির সময়ে ব্যবসা মুখ্য উদ্দেশ্য হতে পারে না, জনগণকে ন্যূনতম সেবা নিশ্চিত করাই মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস।

লকডাউনকৃত এলাকায় অবস্থিত প্যাসিফিক ফার্মাসিউক্যালসসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় এবং ৩টি সুপারশপের মধ্যে যৌক্তিকতা বিবেচনায় যে কোনো ১টি সুপারশপ খোলা রেখে বাকি দুটো বন্ধ করারও নির্দেশনা দেন তিনি।

এছাড়াও তিনি ই-কমার্স প্লাটফর্মের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহকারী ব্যক্তিদের সুনির্দিষ্ট নামে তালিকা প্রদান করতে বলেন এবং অন্যান্য সব ব্যক্তির যাতায়াত বন্ধ করারও নির্দেশনা দেন। 

একই সাথে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্যাম্পল দিতে আরও বেশি সচেতন হওয়ার জন্য তিনি জনগণকে আহ্বান জানান।

লক্ষাধিক লোকের এলাকায় গত ১১ দিনে মাত্র ১৪৮ জন লোকের স্যাম্পল প্রদান বাস্তবিক চিত্রের প্রতিফলন হতে পারে না মন্তব্য করে তাপস বলেন, জনগণকে আরো বেশি পরিমাণে স্যাম্পল দিতে সচেতন করুন, উদ্বুদ্ধ করুন। কারণ, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বলছে, লকডাউন শুরুর সময়কার সংক্রমণের হার এবং বর্তমান সংক্রমণের হার প্রায় একই, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। তাই, যে সব বাসা-বাড়িতে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগী রয়েছে, সে সব বাড়ির বাসিন্দারা যাতে বাড়ির বাইরে যেতে না পারেন, সেটাও নিশ্চিত করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন। 

এ সময় ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো ও আইইডিসিআর’র প্রতিনিধি সভায় জানান যে,  এলাকার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) থেকে ২৮টি টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনগণকে স্যাম্পল প্রদানের আহ্বান জানাবে এবং এই স্যাম্পল প্রদানে সরকার নির্ধারিত ফি ২০০ টাকাও জনগণকে দিতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এলাকার লোকজনদের স্যাম্পল নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

সভায় জানানো হয় যে, লকডাউন শুরুর সময়কার সংক্রমণের হার ছিল ৪০ শতাংশ বর্তমানেও তা প্রায় ৪০ শতাংশ। এছাড়াও স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে ৬০০ লোককে প্রতিদিন তিন বেলা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন সকালবেলা প্রায় ৩০০ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে সবজি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here