• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

নদ-নদী দখলমুক্ত করে পরিচ্ছন্ন রাখতে মাস্টার প্ল্যান করেছে সরকার 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন নদ-নদী দখলমুক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। গতকাল শনিবার আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে সিভিল এভিয়েশন অফিসার্স কোয়ার্টার হয়ে বনরূপা হাউজিং পর্যন্ত খালের খননকাজ সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান নাঈম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জাকিয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, ঢাকা ওয়াসার ড্রেনেজ সার্কেল বিভাগ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কাছে হস্তান্তরের প্রস্তাব দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে এ প্রস্তাব দেন উত্তরের মেয়র।
আতিকুল ইসলাম বলেন, খালগুলো জেলা প্রশাসনের অধীনে, পানি নির্গমণসহ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ওয়াসার। কিন্তু জনগণের দুর্ভোগের কথা শুনতে হয় সিটি করপোরেশনকে। জনপ্রতিনিধি হিসাবে মেয়র ও কাউন্সিলরদেরকে জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু ওয়াসাকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। এ অবস্থায় নগরবাসীর ভোগান্তি লাঘবে, ঢাকা ওয়াসার ড্রেনেজ সার্কেলের বিদ্যমান জনবল, যন্ত্রপাতি, আনুষঙ্গিক সকল উপকরণসহ খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা হস্তান্তর করার প্রস্তাব দিচ্ছি।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই আশকোনা কাওলা এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিতো। মানুষের ঘরে পানি ঢুকে যেত। ওয়াসাকে বলেছি খাল পরিষ্কার করতে তারা বলে সিভিল এভিয়েশন পরিষ্কার করবে, আর সিভিল এভিয়েশন বলে ওয়াসা করবে। দুই সংস্থার মধ্যে সমস্যা কিন্তু এলাকার দুর্ভোগে পরে আর গালি খেতে হয় আমাদের। মেয়র জানান, এক দশমিক ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খননের জন্য যৌথভাবে ডিএনসিসি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ৩০ মে থেকে খাল খনন শুরু করে ২৭ জুন খননকাজ শেষ হয়। এর মধ্যে ডিএনসিসি শূন্য দশমিক ১৭ কিলোমিটার এবং সেনাবাহিনী এক দশমিক ৭৩ কিলোমিটার খালটি খনন করে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এজন্য সেনাবাহিনীকে ডিএনসিসির নিজস্ব তহবিল থেকে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হবে। আমরা কথায় নয় কাজে বিশ্বাস করি, তার প্রমাণ আজকের এই খাল উদ্বোধন। গত ৩০ মে উদ্বোধনের সময় আমরা বলেছিলাম ২১ দিন সময় প্রয়োজন, বৃষ্টির কারণে অতিরিক্ত ৭ দিন সময় লেগেছে। খাল খননের ফলে উত্তরা ৪নং সেক্টরের একাংশ, কসাইবাড়ী, আশকোনা, কাওলাসহ আশেপাশের এলাকার জলাবদ্ধতা অনেকাংশে দূর হবে। ডিএনসিসি মেয়র উদ্বোধন করা খালটির পাশে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সাইকেল লেন তৈরি করারও প্রস্তাব দেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানান, সরকার ঢাকা শহরের সব খাল সংস্কার করে পর্যায়ক্রমে হাতিরঝিলের আদলে আনার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, ঢাকা ও এর আশপাশের বুড়িগঙ্গা, তুরাগসহ বিভিন্ন নদ-নদী দখলমুক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা শহরে যেসব খাল রয়েছে সেগুলো সংস্কার করে হাতিরঝিলের মত অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। ঢাকা শহরের খালগুলোকে একটির সাথে আরেকটির সংযোগ করিয়ে এগুলোকে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে পারলে ঢাকার সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here