ভালো দাম পেয়ে হাসি মুখে ফিরেছেন কৃষক
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২০
Find us in facebook
ভালো দাম পেয়ে হাসি মুখে ফিরেছেন কৃষক। অনেকেই ধান বিক্রির টাকা দিয়ে মাছ-মাংস আর তরমুজের মতো মৌসুমি ফল কিনে বাড়ি ফিরেছেন। এ চিত্র উত্তরাঞ্চলের ধানের অন্যতম বড় মোকাম বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘা হাটের।
ব্যবসায়ী ও আড়ৎদারেরা বলছেন, এক সপ্তাহ আগে এই হাটে মিনিকেট ও কাটারিভোগ জাতের ধানের মণপ্রতি দাম ছিল যথাক্রমে ৮৪০ থেকে ৯০০ এবং ৭৪০ থেকে ৭৫০ টাকা। আর ব্রি-২৮ জাতের ধান বিক্রি হয়েছে ৬৫০ টাকা দরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের ধানের দাম গড়ে ১০০ টাকা করে বেড়েছে। গত মৌসুমে কাটারিভোগ ও স্থানীয় জাতের মিনিকেট ধানের দাম ছিল গড়ে প্রতিমণ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। আর ব্রি-২৮ ধান কেনাবেচা হয়েছিল ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকা মণ দরে।
কৃষকেরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার বাজারমূল্য ও ফলন দুটোই বেশি। গত বছর বাজারমূল্য ও ফলন দুটোই কম হওয়ায় উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে বিঘাপ্রতি গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এবার ফলন ও দাম দুটোই ভাল পাওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন তাঁরা।
গত শুক্রবার সকালে এই হাটে মণপ্রতি মিনিকেট হিসেবে পরিচিত সরু ধান ৯৮০ থেকে ১০১০ টাকা দরে এবং কাটারিভোগ জাতের সরু ধান ৮৫০ থেকে ৮৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর ব্রি-২৮ জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে।
বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার এক লাখ ৮৮ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। অন্যবার এপ্রিল মাসের শুরুতেই ধানকাটা-মাড়াই শুরু হতো। এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ধানকাটার শ্রমিক সংকটের কারণে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। কৃষকের খেত থেকে ধান কাটা মাড়াই এখন শেষ প্রায়। হাট-বাজারে বোরো ধানের কেনাবেচাও এখন শেষের দিকে। এ কারণে ধানের দাম মণপ্রতি ১০০ টাকা বাড়লেও খুব বেশি কৃষক লাভবান হবেন না। কারণ অধিকাংশ কৃষকের ঘরে ধান বিক্রি প্রায় শেষের দিকে।
কৃষকেরা বলছেন, নন্দীগ্রাম উপজেলায় এবার ভারতীয় মিনিকেট জাত, কাটারিভোগ, ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-৬২, বীনা-৭, ব্রি ধান-৫৮ জাতের বোরো ধান চাষাবাদ হয়েছে। গড়ে প্রতি বিঘায় এবার ২০ মণ ধান ফলন হয়েছে। গত মৌসুমে ধানের ফলন ছিল ১৫ থেকে ১৭ মণ।
নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার এ উপজেলায় বোরোর ফলন ভাল হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৯০ শতাংশ বোরো ধানকাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে। এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক ভাল দাম পাওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন।
রনবাঘা হাটে কেনাবেচা হওয়া ধান যায় কুষ্টিয়ার খাজানগর, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি থাকলেও এবার হাটে ধানের আমদানির পাশাপাশি ব্যাপারী ও ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেশি। গতকাল এই হাটে ১০ মণ ধান বিক্রি করতে এসেছিলেন উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের কৃষক সহির আলী। তিনি বলেন, '১২ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমি অন্যের কাছ থেকে পত্তনী নেওয়া। বোরো চাষের জন্য জমি পত্তনী খরচ বিঘাপ্রতি ৭ হাজার টাকা। এর বাইরে হালচাষ থেকে শুরু করে সার, কীটনাশক, সেচ ও কাটামাড়াই পর্যন্ত বিঘায় বোরোতে খরচ গড়ে প্রায় ১৩ হাজার টাকা। সেই হিসাবে বিঘায় খরচ ২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে বোরোর ফলন হয়েছে ২৫ মণ। ৯৮০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করে হাতে পেয়েছি ২৪ হাজার ৫০০ টাকা। বিঘাপ্রতি লাভ হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা।'
কাথম গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন সরদার বলেন, '৮ বিঘা নিজস্ব জমিতে মিনিকেট জাতের বোরো আবাদ করেছি। কাটামাড়াই পর্যন্ত বিঘায় খরচ ১৭ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ধানের ফলন হয়েছে ২২ মণ। বাজারে ৯৫০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করে বিঘায় লাভ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার টাকা।'
রনবাঘা হাটের আড়ৎদার ও আরিফ ট্রেডার্সের হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রায় একমাস ধরে হাটে নতুন ধানের আমদানি হচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে মৌসুমের শুরুর দিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসতে না পারায় ধানের দাম ছিল গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এখন পাইকারদের ভিড় বেড়েছে।
রনবাঘা হাটের আড়ৎদার মাহবুব হোসেন বলেন, অধিকাংশ কৃষকের ঘরে বোরো ধান এখন শেষের দিকে। হাটে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় শুধু যাদের ঘরে ধান আছে, তাঁরাই লাভবান হচ্ছেন।
বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কাশেম আযাদ বলেন, এবার বোরোর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারমূল্যও ভালো। ফলে কৃষক বোরো চাষ করে ভালো লাভ করছেন।
- বদরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা
- ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা
- গাইবান্ধায় বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- ফুলবাড়ীতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- দিনাজপুরে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- পঞ্চগড়ে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- গুচ্ছের হাবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ১২৩৪১ জন
- রংপুরে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা
- রংপুরে মহানগর ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
- ঢাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসা করতে এসে পীরগঞ্জে আটক
- লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী কারাগারে
- পাটগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
- তেঁতুলিয়া তীব্র তাপপ্রবাহে নলকূপে মিলছে না পানি
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- বুয়েটে জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রম তদন্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
- ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজে যাওয়া হলো না বাবার
- ফুলবাড়ীতে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি
- প্রথমবার সালমানের বিপরীতে কিয়ারা
- ঈদে সংবাদপত্রের ছুটি ঘোষণা আজ
- রাতে বেরিয়ে নিখোঁজ কিশোর, দুপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়
- হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে
- সুন্দরগঞ্জে আধুনিক পদ্ধতিতে করলা চাষে ব্যাপক সাফল্য
- আজ থেকে ট্রেনের ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
- আবারও তিনদিন বাংলাবান্ধার ইমিগ্রেশন ও বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা
- শরীরে মেদ জমেছে নাকি পানি, বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীরা
- দ্রুত শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের সুপারিশ
- ইউটিউবে আসছে এআই নির্ভর ৩ ফিচার