• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

কি বললেন সবুজ ধান কেটে সমালোচনার শিকার এমপি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও শ্রমিক সংকটের কারণে ধান ঘরে তুলতে পারছে না কৃষকেরা। এমন পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবক ‍যুব ও সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি ধান কাটতে দেখা গেছে সরকারি কর্মকতাসহ সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদেরও। 

এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান মনির স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ধান কাটেন। পরে সেই ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের আলোচনার বিষয় ছিল- সাংসদ পাকা ধান না কেটে কাঁচা ধান কেটেছেন। 

 এ বিষয়ে সংসদ সদস্য তানভীর হাসান মনির বলেন, “আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক কৃষকে ধান কাটতে দেখি। তখন আমি গাড়ি থেকে নেমে দলীয় কিছু নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওই কৃষকের কিছু ধান কেটে দেই। আমি মূলত পাকা ধান কেটেছি। তবে কিছু লোক স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছেন কাঁচা ধান কাটা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও গুজব। আমি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জনই ধান কেটেছি। যাতে করে সবাই এই সময়ে ধান কাটায় অংশ নেয়।” 

স্থানীয় জানা যায়, গোপালপুর উপজেলার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সুন্দরপুর এলাকার কৃষক লতিফ মিয়া ও তার ছেলে সুজন মিয়া ১৫ শতাংশ জমিতে ব্রি-২৮ ধান লাগান। জমিটি বৈরান নদীর তীরবর্তী হওয়ায় ও জমিতে পানি ওঠার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় সেই ধান কাটছিলেন কৃষক লতিফ মিয়া ও তার ছেলে সুজন। এমন সময় ওই জমির পাশের রাস্তা দিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। এ সময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কিছু ধান কেটে দেন।  

কিন্তু ধান কাটার এই ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি একটি জমির ধান কাটছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা-কর্মী। 

এ ব্যাপারে কৃষক লতিফ মিয়া বলেন, আমি ও আমার ছেলে ধান কাটছিলাম। ঠিক তখন এমপি পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আমার ধান কেটে দেয়। আমার ক্ষেতের ধান পাকা, কিন্তু ডাটাগুলো কাঁচা। 

এ ব্যাপারে  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, “স্থানীয় এমপি যে ধান কেটেছেন সেটি ব্রি ২৮ জাতের ধান। এই ক্ষেটি নদীর তীরবর্তী একদম নিচু এলাকায়। এখানে এই ক্ষেতের ধান ৮০ থেকে ৯০ ভাগ পাকা। তাই এই ক্ষেতটি অবশ্যই ধান কাটার যোগ্য।”

তিনি আরও বলেন, “৮০ শতাংশ ধান পাকলেই কৃষকদের ধান কাটতে বলা হয়। উপর থেকে দেখলে মনে হয় কাঁচা। কিন্তু ধানের ধানের শীষ দেখলে বোঝা যাবে এটি পাকা ধান। অনেকেই গুজব রটাচ্ছেন কাঁচা ধান কাটা হয়েছে।”

Place your advertisement here
Place your advertisement here