• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

Find us in facebook
সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

সুনীলঝড়ে এলোমেলো বাংলাদেশ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২১  

Find us in facebook

Find us in facebook

বাংলাদেশের গৌরবের রক্ষণভাগে হঠাৎ তৈরি হয়ে গেল বড় সুরঙ্গ। সেই সুরঙ্গ ধরেই দুই-দুইবার হানা দিয়ে সুনীল ছেত্রী ম্যাচ নিয়ে গেছেন ভারতের পক্ষে। এই ভারতীয় ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলে ২-০ গোলে হেরে দোহায় রচিত হলো লাল-সবুজের আশাভঙ্গের কাহিনী।

বাংলাদেশের বিপক্ষে বারবার জ্বলে ওঠেন সুনীল ছেত্রী। সেই ২০১৩ সালে কাঠমান্ডু সাফ ফুটবলেও এক গোলে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের জালে শেষ মুহূর্তে গোল ম্যাচ ড্র করেন এই ফরোয়ার্ড। এক বছর বাদে গোয়ায় প্রীতি ম্যাচেও লিডে থাকা বাংলাদেশকে হতাশ করেন সুনীল। মাঝে কলকাতায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গোলহীন থাকলেও কাল আবার ভয়ংকর রূপে হাজির হয়ে এই অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড হতাশার পেরেক ঠুকে দিয়েছেন বাংলাদেশের ফুটবলে। লাল-সুবজের বিশ্বকাপ বাছাই এবং এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন। আর ঝুঁকিতে থাকা ভারতের ক্রোয়াট কোচ ইগর ইস্তিমাচকে উপহার দিয়েছেন জয়ের স্বস্তি।     

প্রথম ১০ মিনিট একদম অচেনা বাংলাদেশ। জেমি ডের চিরাচরিত রক্ষণাত্মক কৌশল ভুলে মতিন-রাকিবরা উঠেছেন আক্রমণে। প্রেসিং ফুটবল খেলে ভড়কে দিয়েছিলেন ভারতকে। তবে আক্রমণে ছিল না কোনো পরিকল্পনা, কেউ ভয়ংকর হয়ে উঠতেও পারেননি। উল্টো ভয়ংকর খেলেছেন রাকিব হোসেন। দুই মিনিটে ব্রেন্ডন ফার্নান্দেজকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখে নিজে হুমকি হয়ে পড়েন দলের জন্য। পরে আরো কয়েকটি ফাউল করে তিনি ভয় ধরিয়ে দিলেও বড় অঘটন হয়নি, এটাই ভাগ্য। ১০ মিনিট চমকের পর আস্তে আস্তে গুছিয়ে খেলে ভারত। ১৫ মিনিটে দেখা যায় ব্রেন্ডনের পায়ে দুর্দান্ত এক ডিফেন্স-ছেড়া পাস। অফসাইড ট্র্যাপ ভেঙে মানবীর সিং সেই বল ধরলেও শেষ পর্যন্ত ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার। ৩৫ মিনিটে সেই মানবীর সিংয়ের কর্ণার কিকে সিঙ্গেল সানা সিংয়ের জোরালো হেড রিয়াদুল রাফি গোললাইন থেকে ফিরিয়ে ম্যাচে রাখেন দলকে। ভারতের কর্ণার কিক মানেই বিপদের ঘনঘটা। তাদের দীর্ঘদেহী ফুটবলাররা অবলীলায় হেড করেন, সেটা দ্বিতীয়ার্ধেও দেখা গেছে। তার আগে ৩৯ মিনিটে অবশ্য রহমতের লং থ্রোয়ে তারেক কাজীর নিরীহ হেড গ্রিপে নেন ভারতীয গোলরক্ষক। বিরতিতে যাওয়ার আগে এটাই একমাত্র লক্ষ্যে শট বাংলাদেশের।

বিরতির পর ম্যাচটা হয়ে ওঠে সুনীলময়। বাংলাদেশের যে রক্ষণভাগের এত সুনাম সেখানেই ধরে চিড়। বাতাসে উড়ে আসা বলে বারবার পরাস্ত হচ্ছিলেন তপু-রিয়াদ-রহমতরা। আনমার্কড থাকছেন সুনীল ছেত্রী। ৬৩ মিনিটে প্রথম সেটা দেখা গেছে ব্রেন্ডনের ফ্রি-কিকে। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে এই ফরোয়ার্ড বাইরে হেড করায় সেই যাত্রায় রক্ষা হয়। কিন্তু ৭৯ মিনিটে আর ভুল করেননি। আশিক কুর্নিয়ানের বাঁ দিক থেকে পাঠানো ক্রসটি কঠিন কোণ থেকেই তিনি রাখেন পোস্টে। তপু আর রহমত করুণ চোখে বলের জালে জড়িয়ে যাওয়া দেখে গেলেন। অনেকটা পেছন থেকে সেই ক্রস অনুসরণ করে এগোনো সুনীলকে আনমার্কড ছেড়ে দেন আগের ম্যাচের গোলদাতা তপু। আগের ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ যেভাবে ফিরে এসেছিল, সেটা করতে গিয়ে পারেনি। ভারতীয়রা খেলে গেছে সতর্কভাবে, কোনো জায়গা দেননি আক্রমণে ওঠার। উল্টো ইনজুরি টাইমে আরেক গোল হজম করে বসে। এবার লেফটব্যাক রহমত পরাস্ত সুরেশ সিংয়ের কাছে, তাঁর কাটব্যাকে সুনীল বক্সের ভেতর থেকে আনিসুর রহমানকে সহজে পরাস্ত করেন।

সাত বছর পর আবার সুনীল ঝড়ে এলোমেলো বাংলাদেশ ফুটবল।

Place your advertisement here
Place your advertisement here