কালো টাকায় মনোনয়ন বাণিজ্য
দৈনিক রংপুর
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮
Find us in facebook
ভালো কিছু হবে এই প্রত্যাশাতে মানুষ ভোট দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য সরকার নির্বাচন করে। সেই কারণেই ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা ভালো ভালো প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাজির হন জনতার সামনে। তাদের অনেকে দীর্ঘ সময় দলের জন্য নিজেদের নিবেদিত করেন, ত্যাগ স্বীকার করেন। কিন্তু নিবেদিত এবং ত্যাগী নেতা কর্মী হলেই দল তাকে মূল্যায়ন করবে এমন গ্যারান্টি নেই। ত্যাগের মূল্যায়ন একেবারে হয় না তা নয়, তবে একটা বড় বিবেচ্য বিষয় থাকে অর্থ।
‘প্রভাবশালী নেতা, এবং তাদের ঘনিষ্ঠরা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন। দলের সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিরাও পেয়েছেন মনোনয়ন। আবার এমন অনেকে পেয়েছেন যাদের রাজনীতিতে নামই কখনো শোনেনি কেউ।’
জাতীয় পার্টি এবং বিএনপি’র শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এবার বড় মাত্রায় মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন এমন একটা অভিযোগ উঠেছে খোদ দলের বিভিন্ন স্তর থেকেই। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ দলের মহাসচিব রুহুল আমি হাওলাদারকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে চেষ্টা করেছেন।
বিএনপির পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। বিএনপির পল্টন এবং গুলশান কার্যালয়ে লাগাতার বিক্ষোভ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা খাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে নাম ধরে ধরে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সরাসরি এমন অভিযোগ না পাওয়া গেলেও স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কোন্দল আভাস দেয় যে, অর্থ অনেক ক্ষেত্রেই বড় ভূমিকা রেখেছে।
নির্বাচনে এইসব নেতারা (তাদের সাথে আবার জুটেছে নাগরিক রাজনীতিকরা) নানা গালভরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। মানুষের সামনে উড়িয়ে দিচ্ছেন স্বপ্নের ফানুস। দুর্নীতিমুক্ত দেশ, স্বচ্ছ প্রশাসন, কালো টাকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ— এমনসব কত কথাই না বলছেন জোট নেতারা। কিন্তু তারা যাদের সাথে ঐক্য করলেন তাদের সাথে যেমন আছে স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী দলের নেতা ও পরিবারের সদস্যরা, আছেন জঙ্গিবাদের মদদদাতা হিসেবে পরিচিত রাজনীতিকরা এবং এবার দল থেকে উচ্চারিত মনোনয়ন বাণিজ্যিকরা।
কে না চায় দেশ দুর্নীতিমুক্ত হোক, আমাদের দুঃখ ঘুচুক। মানুষের সেই মনের কথাটি নির্বাচনের সময় যেন ম্যাজিকের মতো কাজ করে। কিন্তু এবার কি তা হবে? মানুষ দেখছে কিভাবে দলের ভেতরই দুর্নীতিকে লালন করা হল। নির্বাচন অত্যাসন্ন আর সেই হিসেব-নিকেশ করা শুরু করেছে মানুষ এখন।
এমন যদি অবস্থা হয় তাহলে মানুষের প্রত্যাশাপূরণে আদৌ কি সফল হবে এমন দল বা জোট? নাকি এগুলো সবই ফাঁকা আওয়াজ? এমনিতে আমাদের দলগুলো যত প্রতিশ্রুতি দেয় তার বেশিরভাগ বাস্তবায়ন করতে পারেনা। তবে শেখ হাসিনার দশটি বছর উন্নয়ন দশক হিসেবে আজীবন বিবেচিত হয়ে আসবে এদেশের রাজনীতিতে।
রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাত ধরে দেশ যে অর্থনৈতিক সক্ষমতার পথে চলেছে তার স্বীকৃতি এসেছে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে। আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে আবারও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসবে বলে আভাস দিয়েছে লন্ডনভিত্তিক জরিপ সংস্থা দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট-এর একটি বিশেষ সংস্থা ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। বিগত ৬০ বছর ধরে তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জরিপ করে আসছে। ৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনে তারা জানায়, বর্তমান সরকারের সময় টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখেছে বাংলাদেশ। আর এ কারণেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসার সম্ভাবনা বেশি।
তারা আরও জানায়, ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৭.৭ শতাংশে। প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা বিশেষভাবে বলা হয়েছে। বলা হয়, তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতাই আগামী নির্বাচনে মূল ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। বিভিন্ন জরিপের বরাত দিয়ে তারা জানায়, এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনাই সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থী।
আমরা জানি, ভোটের সময় কালো টাকার জোগান বাড়ে। এবার শক্তিশালী বিরোধী দলের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে কারণে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগটি কিছুটা মান্যতাও পেল। বোঝাই যাচ্ছে বাজারে রয়েছে বহু কালো টাকা। নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন কী বলবে? কমিশন কী পারবে জোর গলায় বলতে যে, বাজারে কালো টাকা থাকবে না?
দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদক বলেছে তার সদিচ্ছার কথা। নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহারের ঘটনা নতুন কিছু নয়, তবে কালো টাকা রুখতে যে কোন পদক্ষেপ কখনো নেয়া হয় না, বরং কালো টাকার মালিককে যে দল মূল্যায়ন করে সেটাই প্রমাণ হয় দলীয় মনোনয়ন বাণিজ্যে।
দেশে নির্বাচন এলেই টাকা ও ক্ষমতার দাপট বেড়ে যায়। বিশেষ করে প্রার্থীরা ভোট পেতে ভোটারদের নানা রকম প্রতিশ্রুতি ও বৈষয়িক লাভের প্রলোভন দেখান। এতে করে আমাদের মত দেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির রাজনৈতিক প্রার্থী হওয়া দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।
প্রতি নির্বাচনে এই কালো টাকার দৌরাত্ম্য নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করে। তবু দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা যেহেতেু এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সেহেতু দেশের প্রচলিত আইন কানুন যেন এই ক্ষেত্রে অসহায় দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
প্রভাবশালী নেতা, এবং তাদের ঘনিষ্ঠরা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন। দলের সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিরাও পেয়েছেন মনোনয়ন। আবার এমন অনেকে পেয়েছেন যাদের রাজনীতিতে নামই কখনো শোনেনি কেউ।
এমন পরিস্থিতিতে দলের ত্যাগী ও নিবেদিত অনেকেই বিদ্রোহী প্রার্থী না হলেও নির্বাচনী যুদ্ধ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। এতে ভোটের লড়াইয়ে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে যতটা, সার্বিক রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার চেয়ে বেশি।
- ৭ বছর ধরে নিজ বাড়িতে শিকলে বন্দী নুর
- রাণীশংকৈলে কৃষকের মাঝে বিনামূল্য পাটবীজ ও সার বিতরণ
- সৈয়দপুরে ফেসবুক লাইভে থেকে যুবকের আত্মহত্যা
- কুড়িগ্রামে ভুটানের রাজার মধ্যাহ্নভোজের মেন্যুতে যা যা ছিল
- সুন্দরগঞ্জ হৃদরোগে আক্রান্ত রুসদাকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি
- বালিয়াডাঙ্গীতে বাড়ির আঙিনায় গাঁজা চাষ, গ্রেপ্তার ১
- ভেজাল খাদ্যপণ্য সরবরাহ, বিরামপুরে ২ জনের কারাদণ্ড
- রংপুরে আলু পরিবহনে ফিরেছে ঘোড়ার গাড়ি
- বিরামপুরে এক পা বিশিষ্ট্য সন্তানের জন্ম
- রংপুরে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় আগেই
- ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
- হাতীবান্ধায় জেলের জালে উঠে এল প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ
- শখের ড্রাগন বাগানে স্বাবলম্বী জহুরুল ইসলাম
- চিরিরবন্দরে সেচের কাজে এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে সেঁউতি-দোন
- পার্বতীপুরে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাই-সাইকেল বিতরণ
- কিশোরগঞ্জে হতদরিদ্র ১৬০ নারীর মাঝে বকনা গরু বিতরণ
- কুড়িগ্রাম পরিদর্শন শেষে ভুটানের রাজা ফিরলেন নিজ দেশে
- রংপুরে ইফতারে পছন্দের তালিকায় ‘মস্কট শাহী হালুয়া’
- নাগেশ্বরীতে ল্যাম্ব’র উদ্যোগে শিখন বিনিময় কর্মশালা
- ডোমারে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা
- কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
- পলাশবাড়িতে ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার ১
- বীরগঞ্জে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ দুই নারী আটক
- স্বপ্নজয়ী মা নাজমা রহিমের দাফন সম্পন্ন
- সারাদিন না খেয়ে থাকায় মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে, সমাধানে করণীয়
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা
- দায়িত্বহীনতার কারণে ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
- ‘সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে’
- শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর
- ‘সংস্কারের পাশাপাশি আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানে নজর দেওয়া হবে’
- ফজর সালাতের প্রতি আর গাফেলতি-অলসতা আসবে না, যদি...
- ঢাকায় ৬০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করবে সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ঠাকুরগাঁওয়ে অ্যাম্বুলেন্স-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ১
- রংপুর বিভাগে মাদক বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে অব্যাহতি
- গাজায় শিশুহত্যা চলছে, কোথায় বিশ্বমানবতা- প্রধানমন্ত্রী
- ১২ বছরে প্রাথমিকে ২ লাখ ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
- রমজানে মুমিন মুসলমানের প্রতিদিনের আমল
- রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন
- সেবক হয়ে জেলা প্রশাসকদের কাজ করে যেতে হবে : স্পিকার
- জলবিদ্যুৎ আমদানির আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- চলছে কর্মযজ্ঞ, অক্টোবরে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু
- সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের শপথ আজ
- শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ শুরু হবে যখন
- রোজা রাখার ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
- নীলফামারীতে বিটরুট চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার
- মধ্যপন্থা: মুমিনের বৈশিষ্ট্য
- ভারতবিরোধী স্লোগানের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে